ঢাকা ০২:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
উপজেলা পর্যায়ে সরকারি বিদ্যমান সেবা বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত মদনে প্রাণিসম্পদের উদ্যোগে মোরগ ও ছাগলের খাদ্য বিতরণ ইটনায় সরকারি বিদ্যমান সেবা বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত মদনে সংবাদ প্রকাশের পর স্কুল কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙ্গল বিদ্যালয় প্রাঙ্গন দখল করে ঘর নির্মাণ করছেন শিক্ষক রাজধানীতে পার্বত্য জেলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যসমৃদ্ধ বিপনী বিতান উদ্বোধন করেন: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে মদন উপজেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি সায়েম সাধারণ সম্পাদক আরিফ মদনে ফের বয়রাহালা ব্রীজের এপ্রোচ দখল করে ঘর নির্মাণ মদনে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কৃষককে হত্যার চেষ্টা

রোহিঙ্গারা চুক্তির পরেও কেন লাইন ধরে বাংলাদেশ আসছে : রিজভী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:০২:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ২৬৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের স্বার্থ না দেখে সরকার মিয়ানমারের কাছে দেশের স্বার্থ বিক্রি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। মিয়ানমারের সঙ্গে প্রত্যাবাসন চুক্তির পরও প্রতিদিনই রোহিঙ্গারা কেন লাইন ধরে বাংলাদেশ আসছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে দলটি।

আজ নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রশ্ন রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে জাতিসংঘসহ আর্ন্তজাতিক বিশ্বকে পাশ কাটিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক বা এ্যারেজম্যান্টে স্বাক্ষর করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

জাতিসংঘসহ দেশি ও আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ চুক্তির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। জাতিসংঘের ইউএনএইচসিআর প্রধান বলেছেন এ চুক্তি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরাও এটাকে ব্যর্থ চুক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বলে উল্লেখ করেন রিজভী।

তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে ফিরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন-আগামী দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত নেয়া শুরু হবে। কিন্তু কবে নাগাদ নেয়া শেষ হবে তা তিনি বলতে পারছেন না।

তিনি আরও বলেন, সমঝোতা স্মারকের যে প্রস্তাবগুলো রয়েছে তাও অস্পষ্ট। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কিংবা নিরাপত্তার বিষয়টি সেখানে স্পষ্ট করে উল্লেখ নেই।

রিজভী বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তিকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন-এত বড় কূটনৈতিক অর্জন নাকি আর কখনও হয়নি। তিনি আরও বলেছেন-রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের জন্য তৃতীয় কোন দেশের প্রয়োজন নেই। এতবড় অর্জন হলো তাহলে এখনও প্রতিদিন রোহিঙ্গারা লাইন ধরে আসছে কেন? জনমানবহীন ভাসানচরে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিলেন কেন?

রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকারকে ব্যর্থ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার বন্ধুহীন হয়ে পড়ে এখন আবোল-তাবোল বলছে। এতবড় কূটনীতিক পরাজয় দেশের ইতিহাসে আগে কখনও হয়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

উপজেলা পর্যায়ে সরকারি বিদ্যমান সেবা বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

রোহিঙ্গারা চুক্তির পরেও কেন লাইন ধরে বাংলাদেশ আসছে : রিজভী

আপডেট টাইম : ০৫:০২:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের স্বার্থ না দেখে সরকার মিয়ানমারের কাছে দেশের স্বার্থ বিক্রি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। মিয়ানমারের সঙ্গে প্রত্যাবাসন চুক্তির পরও প্রতিদিনই রোহিঙ্গারা কেন লাইন ধরে বাংলাদেশ আসছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে দলটি।

আজ নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রশ্ন রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে জাতিসংঘসহ আর্ন্তজাতিক বিশ্বকে পাশ কাটিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক বা এ্যারেজম্যান্টে স্বাক্ষর করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

জাতিসংঘসহ দেশি ও আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ চুক্তির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। জাতিসংঘের ইউএনএইচসিআর প্রধান বলেছেন এ চুক্তি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরাও এটাকে ব্যর্থ চুক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বলে উল্লেখ করেন রিজভী।

তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে ফিরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন-আগামী দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত নেয়া শুরু হবে। কিন্তু কবে নাগাদ নেয়া শেষ হবে তা তিনি বলতে পারছেন না।

তিনি আরও বলেন, সমঝোতা স্মারকের যে প্রস্তাবগুলো রয়েছে তাও অস্পষ্ট। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কিংবা নিরাপত্তার বিষয়টি সেখানে স্পষ্ট করে উল্লেখ নেই।

রিজভী বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তিকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন-এত বড় কূটনৈতিক অর্জন নাকি আর কখনও হয়নি। তিনি আরও বলেছেন-রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের জন্য তৃতীয় কোন দেশের প্রয়োজন নেই। এতবড় অর্জন হলো তাহলে এখনও প্রতিদিন রোহিঙ্গারা লাইন ধরে আসছে কেন? জনমানবহীন ভাসানচরে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিলেন কেন?

রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকারকে ব্যর্থ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার বন্ধুহীন হয়ে পড়ে এখন আবোল-তাবোল বলছে। এতবড় কূটনীতিক পরাজয় দেশের ইতিহাসে আগে কখনও হয়নি।